গভীর রাতে পাকিস্তানের ভেতরে চালানো সামরিক অভিযানের বিষয়ে মুখ খুলেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে “অপারেশন সিঁদুর”। তিনি জানিয়েছেন, এটি ভারতের একটি প্রতিক্রিয়া, যা এসেছে জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগামে নিরীহ নাগরিকদের ওপর হামলার জবাবে।
বুধবার (৭ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে অমিত শাহ বলেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর ওপর আমরা গর্বিত। অপারেশন সিঁদুর হচ্ছে পাহেলগামে আমাদের নিরীহ ভাইদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের জবাবে ভারতের পদক্ষেপ।”
তিনি আরও বলেন, “যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে ভারত সবসময় কঠোর অবস্থান নেবে। আমাদের সেনাবাহিনী দেশবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ভারতের এই সামরিক অভিযানের পর দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। বুধবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, “আজ ভোরে ভারতের সামরিক অভিযানকে আমরা দুঃখজনক বলে মনে করি। চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের প্রতিবেশী, পাশাপাশি তারা দুজনেই চীনের প্রতিবেশী। চীন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে। তবে আমরা আশা করি উভয় দেশই সংযম প্রদর্শন করবে এবং এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।”
চীনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, “ভারত ও পাকিস্তানের উচিত বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তা করা এবং গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে উত্তেজনা হ্রাসে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া। অঞ্চলটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি।”
চীন মনে করে, উত্তেজনা ও সংঘাত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও দায়িত্ব রয়েছে পক্ষগুলোর মধ্যে সংলাপ এবং কূটনৈতিক সমাধানের পথ উন্মুক্ত রাখতে।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতের সামরিক অভিযান ও তার জেরে আন্তর্জাতিক মহলে যে কূটনৈতিক সাড়া পড়েছে, তা পরিস্থিতির গুরুত্বকে সামনে নিয়ে আসে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ একদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বার্তা দিলেও, প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনের উদ্বেগ এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রয়োজনীয়তাও স্মরণ করিয়ে দেয়। এখন দেখার বিষয়, ভারত ও পাকিস্তান পরবর্তী ধাপে কী ধরনের কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করে।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ